শিশুদের গল্প বলা: রাজাকার বনাম মুক্তিযোদ্ধা

প্রথম প্রকাশঃ এপ্রিল ২৯, ২০১৬ সময়ঃ ১২:১৪ অপরাহ্ণ.. সর্বশেষ সম্পাদনাঃ ১:৪১ অপরাহ্ণ

শারমিন আকতার

 ghorgv-179x250রাজাকার হিহিহি। বহুত শুনছি এইসব বাঙালি গাদ্দারের কথা। পাকিস্তান আমাদের ভাই; তোরা কেন গেলি ভাইয়ের সাথে মারামারি করতে?  আরে যুদ্ধতো হইছে কিছু গাদ্দাররে মারার লাইগা। তোরা দল বাঁইনধা দৌঁড়ানোরতো দরকার ছিল?

তাইতো আর্মিসাবরা এক্কেরে সাইজ কইরা দিসে?

‘ঘরে ঘরে অস্ত্র ধর বাংলাদেশ স্বাধীন কর।’ ওরে আমার স্বাধীনতা!! ওরে আমার বীর মুক্তিযোদ্ধা !! আরে আর্মিসাবরা না ছাড়লেতো আরও মরতি তোরা । নেহায়েত ভালো মানুষ বইলা ছাইড়া দিসে। ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’। আশেপাশে কেউ নাই তো?eguh-150x250

মুক্তিযোদ্ধা:  তা কী করে হয়! তোদের আশেপাশে তো আমাদের সবসময় থাকতে হবে। যেমন যুদ্ধের সময় ছিলাম! তেমনি এখনও আছি, ভবিষ্যতেও থাকবো। ৭১’রে ছিলাম অস্ত্র হাতে। আর এখন আছি ষোলো কোটি মানুষগুলোকে নিয়ে ।

তোদের হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে না। তাইতো এখনো বেঁচে আছি।

এখানে পড়ে আছিস কেন, পাকিস্তানে চলে যা; আর সেখানে গিয়ে গলা ফাটায়ে বল ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’ ‘পাকিস্তান জিন্দাবাদ’। 

তোদের উপযুক্ত জায়গা সেখানেই। উর্দুতো তোদের মাতৃভাষা! সেইটা্ই সকাল-বিকাল বলতে থাক। তাইলে বন্ধু হানাদার সাবরা খুশি হয়ে যাবে।

লজ্জা বলেও কিছু নাই, তাই  লজ্জার কথা বলে আর লাভ কী!!!  জানটা যে এখনও আছে তার জন্য আল্লাহর কাছে শুকরিয়া কর। অনেকদিন আরামে কাটাইছস। এবার সবগুলোর শাস্তির সময় আসছে; যেদিন সব রাজাকার এই দেশ থেকে শেষ হবে; সেই  দিন আমাদের যুদ্ধও শেষ হবে।

আমাদের ভাই-বোনদের রক্ত এই বাংলার মাটিতে মিশে আছে। এই মাটি বড় পবিত্র। এখানে রাজাকারের কোনো জায়গা নাই। যা তোদের আর্মিসাবদের মাটিতে গিয়া মর।দুর্ভাগ্য আমাদের, তোদের মতো বিভীষণের জন্ম কিনা এ বাংলার মাটিতে!

দেখ, তোদের পচা-বাসি- দূষিত রক্তের গন্ধে চারপাশটা কেমন জঘন্য রকমের গুমট হয়ে আছে। তোদের মতো নষ্ট শশার দলকে নিয়ে এক মাটিতে ঘুমানো অসম্ভব। তোরা মর, এখানে না ঐখানে। তাহলে আমরা শান্তিতে একটু পবিত্র মাটিতে ঘুমাতে পারবো। 

 =======

আরো সংবাদঃ

মন্তব্য করুনঃ

পাঠকের মন্তব্য

সর্বাধিক পঠিত

20G